দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খেলার নাম ক্রিকেট। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে ক্রিকেট এক আবেগের নাম। ক্রিকেটপ্রেমি এসব মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ ক্রিকেট খেলায় বাজি ধরতে পছন্দ করে। তারা ক্রিকেট খেলায় বাজি ধরলেও খুব অল্প সংখ্যক লোকই আছে, যারা ক্রিকেট খেলায় বাজি জেতার কৌশল সম্পর্কে জানে। অধিকাংশই শুধু মাত্র নিজের প্রেডিকশনের উপর ভিত্তি করে বা তাদের পছন্দের টিমের উপর বাজি ধরে। ফলে বাজিতে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগই বাজিতে হেরে যায়।
আবার অনেকে না বুঝে প্রতারক বেটিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাজি ধরে থাকে। যার ফলে বাজিতে জিতলেও বেটিং প্ল্যাটফর্ম সেই টাকা প্রদান করে না। ফলশ্রুতিতে, বাজিতে জিতলেও লসের সম্মুখীন হতে হয়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ক্রিকেট খেলায় বাজি জেতার উপায় ও কৌশল সমূহ আলোচনা করবো। পাশাপাশি আলোচনা করবো কিভাবে ক্রিকেট খেলায় বাজি ধরার জন্য একটি সঠিক এবং নিরাপদ বেটিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হয়। সাথে থাকবে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ১টি বেটিং প্ল্যাটফর্মের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ।
ক্রিকেট খেলায় বাজি জেতার উপায়
অনলাইন বেটিং বা জুয়া খেলায় জয়ের কোনো নিশ্চিত কৌশল নেই। কারণ এগুলো মেশিন ও সফটওয়্যার নির্ভর। তবে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বিষয়টা মোটেও তেমন না। কারণ এখানে মানুষ অংশগ্রহণ করে। আমরা জানি কোন প্লেয়ার বা টিম কেমন খেলে। তাই রিসার্চ ও এনালাইসিসের মাধ্যমে অনেকটাই ম্যাচের ফলাফল আগে থেকেই বলা সম্ভব, যদিও ১০০% নয়।
ক্রিকেট খেলায় বাজি জেতার উপায় কোনো একটি নির্দিষ্ট প্যারামিটার বা বিষয়ের উপর নির্ভর করে না। নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করলে প্রায় সকল ম্যাচের ফলাফল আগে থেকেই অনুমান করা সম্ভব।
ক্রিকেট খেলায় বাজি জেতার উপায়কে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারিঃ
১. খেলার দিক
ক্রিকেট খেলায় বাজি জেতার জন্য প্রথমে আমাদের ক্রিকেট খেলা, খেলোয়াড়, ভেন্যু, টিম পারফরম্যান্স, খেলোয়াড় পারফরম্যান্স, মাঠ ও পিচের কন্ডিশন, কোন টিম কোন টিমের সাথে কেমন পারফর্ম করে, খেলার দিনের আবহাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কারণ এগুলোর উপর ভিত্তি করেই সঠিক ম্যাচের ফলাফল প্রেডিকশন করতে হয়।
বিষয়টা রিসার্চ ও গবেষণার। একটু কঠিন হলেও ভালো ফলাফল পেতে অবশ্যই নিজেকে সময় দিতে হবে। শর্টকাট খুঁজলে অধিকাংশ সময় প্রতারণার শিকার হতে হয়। তাই প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে এবং নিজেকে যোগ্য বাজিগর হিসেবে গড়ে তুলতে এটাই একমাত্র উপায়।
২. সাইকোলজি
মানুষ মানেই রাগ ও ইমোশন রাখে। সমস্যা হয় যখন এই রাগ ও ইমোশনকে বেটিং এর সাথে মিশিয়ে ফেলি। হারের পর অতিরিক্ত বাজি ধরা বা জেতার পর লোভে অতিরিক্ত বাজি ধরা অধিকাংশ সময় লস হয়।
যে কোনো হারের বা জয়ের পর নির্দিষ্ট সময় বিরতি নিয়ে পরবর্তী বাজি ধরাই বুদ্ধিমানের কাজ। সময় হতে পারে ১-২ দিন বা ১-২ ঘন্টা। এটি অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।
৩. মানি ম্যানেজমেন্ট ও রিক্স ম্যানেজমেন্ট
বাজির জগতে মানি ম্যানেজমেন্ট ও রিক্স ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষেপে, রিক্স ম্যানেজমেন্ট হলো কতটা অর্থ একটি বাজিতে হারতে সক্ষম বা কতটা লস হলে সেদিনের বাজি বন্ধ করবেন তা আগে নির্ধারণ করা।
উদাহরণঃ ধরুন, আজকে বাজিতে ১০০০ টাকা ধরবেন। যদি এটি লস হয়, আর কোনো বাজি ধরবেন না। আবার ২০০০ টাকা প্রফিট হলে সেদিনের বাজি বন্ধ করুন।
মানি ম্যানেজমেন্ট: ধরুন বাজিতে ১৪০০ টাকা ধরবেন। পুরো টাকা একবারে না দিয়ে ভাগ করে ধরুন—২০০, ৪০০, ৮০০। এতে একবার জিতলেও লস রিকভার হয়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত বাজি খেলার সাইট
আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম Ninewickets কে বাংলাদেশের সেরা বেটিং নির্বাচন করেছেন। এর পিছনে বেশ কিছু কারনও রয়েছে। অন্যান্য প্লাটফর্মগুলো গ্লোবাল মার্কেটকে কেন্দ্র করে ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হয়েছে সেখানে 9wickets বিশেষভাবে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে তৈরি।
বাংলাদেশি ইউজারের কথা চিন্তা করে তারা একটি ডেডিকেটেট সাপোর্ট টিম, এজেন্ট ও এজেন্ট অফিস নিয়োগ করেছেন। তাদের বাংলাদেশি এজেন্ট ওয়েবসাইট হচ্ছে www.agent9w.com যেখানে আপনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও বাংলাদেশি ইউজারদের জন্য তাদের সকল কার্যকলাপ বাংলা ভাষায় পরিচালিত হয়ে থাকে। যার কারনে আপনি ভাষাগত সমস্যায় পড়বেন না।
সুবিধা | অসুবিধা |
বাংলা ভাষায় ২৪/৭ গ্রাহক সেবা | ক্রিপ্টকারেন্সি সুবিধা নেই |
সকল এজেন্ট বাংলাদেশী | |
এজেন্ট, এ্যাডমিনদের সাথে হোয়াটসএ্যাপে সারাসারি কথা বলার সুযোগ | |
বিকাশ, নগদের মাধ্যমে লেনদেন ইত্যাদি | |
অ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ্স সুবিধা। | |
২-৩ ঘন্টার মধ্যে টাকা উত্তোলনের সুবিধা। | |
বাংলা ভাষায় ২৪/৭ গ্রাহক সেবা | |
আনলিমিটেড উইড্র |
সেরা বেটিং সাইট নির্বাচন প্রক্রিয়া
কতগুলো যুক্তিসঙ্গত কারণে আমরা নিম্নে উল্লেখিত বেটিং সাইটকে সেরা হিসেবে নির্বাচন করেছি। চাইলে আপনি এই সাইটে নির্ভয়ে অনলাইন বেটিং করতে পারেন। অথবা নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে অন্য সাইটের মধ্যেও আপনার মতো করে নিরাপদ ও সেরা বেটিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করে সহজে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
১. সাইটের নিরাপত্তা ও অনুমোদন
নিরাপত্তা এবং অনুমোদনের বিষয়টি আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছি। আপনি সাইটের ফুটারে “About Us” ও “Terms and Conditions” পেজ ভিজিট করে এ সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে পারেন।
লাইসেন্সকৃত বেটিং সাইট তাদের সার্ভিসের স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ করে। এছাড়া সাইটের তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা (SSL বা এনক্রিপশন সিস্টেম) কেমন তা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, বেটিং সাইটের সঙ্গে আপনার তথ্য আদান-প্রদানে হ্যাকাররা হস্তক্ষেপ না করতে পারে।
২. অনলাইন বাজি/গেমের ভিন্নতা ও সংখ্যা
যে সাইটে যত বেশি বাজি ধরার অপশন থাকে, আপনার অভিজ্ঞতা ও ইনকাম করার সুযোগ তত বেশি।
- বাজির সংখ্যা সাইটের উপর নির্ভর করে; কিছু সাইটে ২০-৩০টি বাজি অপশন থাকে, আবার কিছুতে ১০০টিরও বেশি।
- প্রি-ম্যাচ বেটিং এবং লাইভ বেটিং সুবিধা থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড।
৩. ডিপোজিট বোনাস
নতুন বেটারের জন্য ডিপোজিট বোনাস একটি বড় সুবিধা। এটি অনেক সময় মূল টাকার ১০০, ২০০, এমনকি ৩০০ গুন পর্যন্ত হতে পারে। এর মাধ্যমে নতুন ইউজার নির্ভয়ে বেটিং করতে পারে এবং লাভও কয়েকগুণ বাড়াতে পারে।
আমাদের নির্বাচিত সাইটটি ওয়েলকাম বোনাস, ফ্রি বেট এবং লয়্যালটি প্রোগ্রামের মতো আকর্ষণীয় অফার প্রদান করে।
৪. ডিপোজিট ও উইথড্র
বাংলাদেশের সেরা সাইটটি ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে। উদাহরণঃ
- ব্যাংক ট্রান্সফার
- মোবাইল ব্যাংকিং
- ই-ওয়ালেট
৫. কাস্টমার সার্ভিস
একটি ভালো বেটিং সাইটে ২৪/৭ গ্রাহক সেবা থাকা অপরিহার্য। নাইন উইকেট বেটিং সাইটটি এই সেবা প্রদান করে, যাতে ব্যবহারকারী যে কোনো সময় যে কোনো সমস্যার সমাধান পেতে পারে।
৬. ডেডিকেটেড বাংলাদেশি সাপোর্ট টিম ও এজেন্ট
সকল সাইটে কাস্টমার সাপোর্ট থাকলেও ডেডিকেটেড বাংলাদেশি সাপোর্ট টিম ও এজেন্ট সব সাইটে নেই। নাইন উইকেটস এগিয়ে আছে, যাদের রয়েছে:
- বাংলাদেশি ইউজারের জন্য ডেডিকেটেড এজেন্ট
- এজেন্ট ওয়েবসাইট
- কাস্টমার সাপোর্ট
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.agent9w.com
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে, আপনি সহজেই আপনার মতো করে সেরা ও নিরাপদ বেটিং সাইট নির্বাচন করতে পারেন।
বাংলাদেশে অনলাইন বেটিং জনপ্রিয় হওয়ার কারণ
বর্তমানে বাংলাদেশের আইন অনুসারে বেটিং বা জুয়া খেলা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জুয়া-সম্পর্কিত জমায়েত প্রতিহত করতে প্রায় নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। তবুও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুয়া খেলাও ডিজিটালাইজড হয়েছে। এখন জুয়া খেলতে জমায়েতের প্রয়োজন নেই; হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে যে কোনো জায়গা থেকে সহজে খেলা যায়।
বাংলাদেশে অনলাইন বেটিং বা অনলাইনে জুয়ার জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণঃ
- বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক চাপ: বাংলাদেশে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। বেকার মানুষরা প্রায়শই দ্রুত অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে থাকেন। অনলাইন বেটিং তাদের জন্য একটি সহজ উপায়।
- দারিদ্রতা ও সুযোগসন্ধান: অনলাইন বেটিং ছোট মূলধনেই দ্রুত আয়ের সুযোগ দেয়।
- অলস সময় ও বিনোদন: তরুণ প্রজন্ম অবসর সময় কাটাতে অনলাইন বেটিংকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করে।
- সোশ্যাল মিডিয়া ও লাইভ প্রচারণা: অনলাইন বেটিং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, খেলার চ্যানেল এবং লাইভ ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচের মধ্যে প্রচারিত হচ্ছে। অনেক সময় সাধারণ দর্শকের কাছে এটি বোঝা যায় না যে এটি অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন।
- বোনাস ও প্রোমোশন: বিভিন্ন প্রকার বোনাস ও আকর্ষণীয় প্রোমোশন নতুন ও নিয়মিত ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করছে।
এরপর সারাবছর ধরে চলতে থাকে ক্রিকেট ও ফুটবলের আসর—আইপিএল, বিপিএল, সিপিএ ইত্যাদি। তরুণরা প্রাকৃতিকভাবে খেলা প্রেমি এবং তাদের প্রিয় টিমের প্রতি আবেগ থাকে। অনলাইন বেটিংতে তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বাজি ধরতে আগ্রহ হয়। ছোট ছোট এ ধরনের অনেক কারণেই বাংলাদেশে অনলাইন বেটিং ও জুয়ার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।